গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত নেত্রকোণা জেলার দশটি থানার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী থানা আমাদের এই কেন্দুয়া। তবে ভৌগলিক অবস্থার বিচারে কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার সীমানাকে বুকে ধারণ করে পাশাপাশি নিজ জেলাসহ তিনটি জেলার ভাষা, কৃষ্টি, সভ্যতাকে লালন করে কেন্দুয়া আরও মহিমান্বিত হয়েছে। কেন্দুয়া নামকরণের ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী রোয়াইলবাড়ী ও জাফরপুরে অবস্থানরত শাসক ও সেনানীদের ঐতিহ্য রক্ষার্থে এবং গোগবাজারে প্রসিদ্ধ পাট ক্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠায় বিদেশী ব্যবসায়ীদের আনন্দ ফুর্তির জন্য মুঘল যুগে দিল্লী-লক্ষ্যেহতে বাঈজীরা এসে আজকের থানা সদর থেকে ১ কিঃমিঃ উত্তরে সবুজ গাঁয়ে বাসস্থান গড়ে তুলে। ফরাসীরা এ অঞ্চলে আগমণ করে-বাঈজীদের এ স্থাননটিকে ‘কান্দওয়া’ বলে সম্বোধন করে। (কান্দওয়া শব্দটি ফার্সী এবং এর বঙ্গার্থ সবুজ ভূমি, ‘ওয়া’ শব্দটি সম্বোধন শব্দ)। সেই ফার্সী ‘কান্দওয়া’ থেকে উচ্চারণ বিভ্রাটে কেন্দুয়া নামের উদ্ভব।
১৮৭৪ খ্রীঃ ফাঁড়ি থানা প্রতিষ্ঠত হয় এবং ১৮৮৪ খ্রীঃ পূর্নাঙ্গ থানায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৮২ খ্রীষ্টাব্দে মানোন্নীত থানা এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় পরিণত হয়।
উত্তরে নেত্রকোণা সদর ও আটপাড়া উপজেলা, পূর্বে মদন উপজেলা, দক্ষিণেকিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ ও গৌরিপুর উপজেলা।
বর্তমান কেন্দুয়াসহ পাশ্ববর্তী কামরম্নম রাজ্যের ইকলিম মোয়াজ্জমাবাদ পরে নাসিরম্নজ্জিয়াল পরগনাভূক্ত ছিল। সম্রাট আকবারের সময়কালে এ অঞ্চল সরকার বাজুহা নামে পরিচিত ছিল।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS